জাকারিয়া আল মামুন গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি
গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার জামালপুর আরএম বিদ্যাপীঠ এর ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী উম্মে সালমা আক্তার বেত্রাঘাতের পর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বলে ছাত্রীটির পরিবার জানিয়েছে।
তারই জের ধরে অদ্য ১৬ ই আগস্ট মঙ্গলবার সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত জামালপুর দালান বাজার রাস্তা অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের প্রধান দাবি ছিল প্রধান শিক্ষকের বহিষ্কার।
টিফিনের পরের ক্লাস চলাকালীন এক পর্যায়ে ক্লাস শিক্ষক আকরাম হোসাইন এর কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে বাথরুমে যায় সালমা। ওইখানে উপস্থিত হয়ে ছাত্রী সালমকে কিছু না জিজ্ঞেস করেই বেত্রাঘাত শুরু করেন প্রধান শিক্ষক মোঃ ফাইজ উদ্দিন। এর এক পর্যায়ে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
সালমা আক্তারের মা সুফিয়া বেগম ঢাকার ডাককে বলছেন, “সালমা শরীরে অন্তত ১০-১৫টি বেতের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।”ঐ ছাত্রী বেশি অসুস্থ হয়ে পরলে রাতে তারা স্থানীয় চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। তিনি আরো বলেন অদ্য ২৯ শে জুলাই আমি কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার শরণাপন্ন হই এবং তাকে উক্ত বিষয়ে অবগত করি, তিনি আমার মেয়েকে দেখে এবং আমার কথা শুনে কালিগঞ্জ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূরে জান্নাতকে উক্ত বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করেন।
এ বিষয়ে জানার জন্য কালীগঞ্জ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূরে জান্নাত এর সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্যার আমাকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিষয়টি অবগত করেছেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক মোঃ ফাইজ উদ্দিন এবিষয়ে কোন বক্তব্য দেনি
আচরণবিধি নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি উগ্র মেধাজি কন্ঠে জানান, বাথরুমে গিয়ে সাজগোজ করতে ছিল তাই আমি মারধর করেছি আপনার নিউজ করার থাকলে আপনি করতে পারেন আমার কোন সমস্যা নেই।
জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জামালপুর স্কুলের সাবেক সভাপতি খায়রুল আলম দুঃখ প্রকাশ করে বলেন স্কুলে শিক্ষার্থীদের ওপর বেত্রাঘাত বা যে কোন শারীরিক শাস্তি সরকার নিষিদ্ধ করার পরেও এই ধরণের ঘটনা বন্ধ হচ্ছে না। আমি এই ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এর আগে ২০১২ সালে আগে কুষ্টিয়ার পুলিশ লাইন স্কুল এন্ড কলেজে অধ্যক্ষের লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত কয়েকজন ছাত্রকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দিতে হয়। ২০১৮ সালে রাজধানী ঢাকার কাছে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের বেত মারার কারণে ষষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রীর চোখ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিল; যা ব্যাপকভাবে আলোচনায় এসেছিল।
এই বিষয়ে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইঞ্জিয়ার মাকসুর রহমান বলেন আমি এবিষয়ে লিখত কোন অভিযোগ পাইনি অভিযোগ পেলে দেখবো।
Leave a Reply